নিউজ স্বাধীন বাংলা : ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী চুন্নু ও তার সহযোগী পারভেজকে গ্রেফতারের পরও মাদক, ভূমি দস্যুতা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে তৎপর রয়েছে তার আরও ১০ সহযোগী। তারা এখনও প্রশাসনের কঠোরতাকে উপেক্ষা করে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে নয়ামাটিসহ আশপাশের এলাকা।
প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে যাকে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে বলেছে ‘আমরা শেষ হয়ে যাইনি’। ‘হাতি মরলেও লাখ টাকা’ ‘সুতারাং সাবধান’। এধরনের হুমকিতে জনসাধারনের মধ্যে আরও বেশি আতংক দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের দাবি, নয়ামাটিকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে চুন্নু বাহিনীকে দমন করতে হবে। চুন্নুর প্রত্যেকটি সহযোগীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। জেলা প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে চুন্নু বাহিনীর প্রত্যেকটি সদস্যকে গ্রেফতার করে নয়ামাটি এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত একটি আদর্শ এলাকা চাই।
এলাকাবাসী জানান, চুন্নু ও পরে তার সহযোগী পারভেজ গ্রেফতারের পর আনোয়ার হোসেন, মিঠুন, বাদশা, বিল্লাল, রফেত আলী, সেলিম, শরিফ, সবুজ, তোফায়েল এবং রানা এলাকায় প্রকাশ্যে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। চুন্নুর প্রত্যেকটি সেক্টর এখন তারা নিয়ন্ত্রন করছে। তাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজী, ভূমি সদস্যুতা, পুলিশের হ্যানকাপ ছিনিয়ে নেয়ার মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে কিন্তু তারা হাজতে বেশি দিন বন্দি থাকেনা। তাদের বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে খুব কম সময়ে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের এলাকায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রহস্থ হয় সাধারন লোকজন। যারা নয়ামাটি লামাপাড়া এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করতে আসে। নানা ভাবে এসব লোকজনদের হয়রানী করা হয়। প্রথমে জমিতে ওয়ারিশ পরে ভবন নির্মান করলে নির্মান সামগ্রি দেয়ার জন্য প্রভাব বিস্তার করে। এরপর এলাকার ছেলে পেলে হিসেবে মিষ্টি খাওয়ার নামে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী। এছাড়াও ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের পদে পদে হয়রানী করে চুন্নু ও তার সহযোগীরা।