নিউজ স্বাধীন বাংলা: নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পর নিজ কর্মগুণে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এসপি হারুন অর রশীদ। সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শহরের সব থেকে বড় জুয়ার আসর বন্ধ ও শহরের ফুটপাত হকারমুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হন তিনি।
তিনি এখানে আসার পর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠজনদেরও কোনো রকম ছাড় দেননি। অভিযান চালিয়েছেন। গ্রেফতারও করেছেন। সাধারণ মানুষও তার উদ্যোগে সাহসী হয়ে উঠেছেন। সাহস করে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করছেন। স্থানীয় অনেকেরই চাওয়া, নারায়ণগঞ্জে এসপি হারুন দীর্ঘদিন থাকুক। এই শহরের অলিগলিতে যত অন্যায় অনিয়মের জঞ্জাল রয়েছে তা পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত তিনি এখানেই থেকে যাক। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে একটি পক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে তাকে বিতর্কিত করার মানসে।
সূত্র মতে, এসপি হারুনের অ্যাকশনে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ একটি মহল। এই মহলের আশীর্বাদে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হেন কোনো অপরাধী নেই যে লালিত পালিত হয়নি। কিন্তু এসপির অ্যাকশনে ওইসব অপরাধীদের অপকর্মে এখন অনেকটাই ভাটা পড়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে পক্ষটির কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তি। ফলে, ওই পক্ষটির মুখোশও বেরিয়ে আসে প্রকাশ্যে। শহরবাসী বুঝতে পারেন, এই পক্ষটি এতদিন শহরবাসীকে জুজুর ভয় দেখিয়ে শাসন ও শোষণ করেছেন।
সূত্র বলছে, এসপির অ্যাকশনের ফলে এই পক্ষটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে শুরুতে এসপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মাঠে নেমেছিলো। আল্টিমেটামও দেওয়া হয় পক্ষটির পক্ষ থেকে। কিন্তু হারুন অর রশীদকে এক চুলও নড়াতে পারেনি তার অবস্থান থেকে। ফলে ওই পক্ষটি ব্যাকফুটে চলে যায়। কিন্তু এসপির বিরুদ্ধে গুটিচাল চালতে তারা নানা কৌশলই অবলম্বন করছেন। প্রথমত এসপিকে বিতর্কীত করার অপপ্রয়াসে পক্ষটি বেশ জোড়ালো ভাবে মাঠে নেমেছে। পাশাপাশি হকারদেরকেউ উস্কানি নিয়ে বেকয়াদয়া ফেলার চেষ্টা করছে এই পক্ষটি।
গেল দেড় মাস ধরে নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের উভয় পাশ হকারমুক্ত করে পুলিশ প্রশাসন। এসপি হারুনের নির্দেশে এই হকারমুক্ত অভিযান চলে। তবে, হকারমুক্ত হবার পর থেকে হকাররা বারবারই এর ওর কাছে ধরণা দিয়েও সুবিধে করতে পারেনি। সম্প্রতি একটি ক্লাবেও এক নেতার সাথে মিটিং করার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলো তারা। কিন্তু কোনো কারণে সে মিটিং হয়নি। বলা হচ্ছে, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে চলে আসাতে ওই নেতা আর ক্লাবে আসেনি।
এদিকে, ওই ঘটনার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই আন্দোলনে নামে হকাররা। তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় সিপিবি নেতা হাফিজুল ইসলাম। তাকে বিগত সময় এই হকার আন্দোলনের সময় ওই পক্ষটির পাশেই দেখা গেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, পর্দার আড়ালে ওই পক্ষটি থেকে প্রকাশ্যে হাফিজুলকে মাঠে নামিয়েছে। হকারদের উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার লক্ষ্য নিয়েই আগাচ্ছে পর্দার আড়াল থেকে ওই পক্ষটি।
বোদ্ধা মহল বলছে, এসপি হারুনকে প্রকাশ্যেই হুমকি ধামকি আল্টিমেটাম দিয়েও ওই পক্ষটি কিছু করতে পারেনি। তারা নিজেরাই চলে যান আড়ালে। নীরব হয়ে যান। কিন্তু তাদের নীরবতা মানেই সামনে ভয়াবহ কিছু ঘটার ইংগিত। কেননা, তারা যখন প্রকাশ্যে কিছু করতে না পারে তখন তারা পর্দার আড়ালে গিয়ে নানা ধরণের কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের চলার পথে বাধাটাকে টপকানোর ফন্দি আটেন। এবারও তেমনই হচ্ছে। কেননা, এই চক্রটিই হচ্ছে শহরের নানা অপকর্মের সুবিধাভোগি এবং বর্তমানে এসপি হারুনের কঠোরতায় সেসব থেকে বঞ্চিত। পাশাপাশি এসপির কঠোরতায় তারা নিজেরাও কোণঠাসা এই শহরের মধ্যে যা ইতোপূর্বে শহরবাসী এমন দৃশ্য দেখেনি।
বোদ্ধা মহল বলছে, এসপি হারুনকে আরও কঠোর হতে হবে। তার পাশে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ রয়েছে। তার প্রতিটি কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের আকণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। যত হুমকি ধামকি আসুক না কেন, তাকে তার অবস্থানে অনড় থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে এভাবেই সোচ্চার থাকতে হবে।