নিউজ স্বাধীন বাংলা: ফতুল্লায় ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক মাওলানা আল আমিনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালের দিকে ফতুল্লা মডেল থানায় এই মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
আল আমিনের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি এবং অপরটি র্যাবের পক্ষ থেকে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
এর আগে ৪ জুলাই ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে এর অধ্যক্ষ মাওলানা আল আমিনকে আটক করে র্যাব-১১। তিনি এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং একটি মসজিদের ইমামও।
র্যাব আল আমিনের কাছ থেকে বেশ কিছু পর্ণ ভিডিও উদ্ধার করে। সে কুমিল্লার মুরাদ নগর উপজেলার ভূইয়া পাড়া এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত মাওলানা আল আমিন মাদরাসার ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। একই সাথে তিনি ওই সব শিশু শিক্ষার্থীদের পর্ণোগ্রফি ভিডিও চিত্র দেখিয়ে এবং তাদের ছবি যুক্ত করে পর্ণোগ্রাফি বানিয়ে বø্যাকমেইল করে আসামাজিক কাজে বাধ্য করতো বলেও জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
তিনি আরও জানান, এই বারো শিক্ষার্থী ছাড়া আরো কোনো শিক্ষার্থীর সাথে ওই শিক্ষক যৌনাচার করেছেন কিনা সে ব্যাপারে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। বর্মোনে গ্রেফতারকৃত শিক্ষক আল আমিন কারাগারে রয়েছেন। পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।